মোঃ জাহিদুল হক : সিরাজগঞ্জ
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে আলোকিত করতে যেখানে সরকার বার বার শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিলেও কিছু শিক্ষিকার অবহেলায় নানা কারনে অবহেলিত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছরা ইউনিয়নের গটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৬৪ জন শিক্ষার্থী দুজন শিক্ষিকার অবহেলার কারনে আজ উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,প্রতি বছর সিরাজগঞ্জ জেলা অফিস থেকে প্রত্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল তথ্যসহ ছাত্র- ছাত্রীর চাহিদা চাওয়া হয় যাতে করে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ শিক্ষা উপকরন, শিক্ষাবৃত্তি এবং উপবৃত্তি প্রদান করা যায়,কিন্তু এবছর গটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কারনে আজ বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের অনুসন্ধানে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিদ্যালয়টির স্লিপ ফান্ড এর অর্থ নয়-ছয়, শিক্ষার্থীদের দিয়ে পাঠদান, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আল আমিন এর সহযোগিতায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ হাসিনা খাতুন ও সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ নাজমা খাতুন চাকুরীতে জয়েন করেন। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ নাজমা খাতুন বলেন,এই স্কুলের ঐ সময়ে সভাপতী ও আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন আমার মামা হয় সেই হিসেবে ছাড় দিয়ে কয়েক ধাপে
টাকা নিয়ে আমাদের চাকরি দেন।
এলাকাবাসীর সুত্রে আরও জানা যায়,প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা খাতুন ও সহকারী শিক্ষিকা নাজমা খাতুন নিজেরা ক্লাস না নিয়ে ছাত্রদের দিয়ে প্রায় ক্লাস নেন,আর তাদের অবহেলার কারণেই আমাদের ছেলে মেয়েরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত। আর পড়াশোনার মান তেমন ভালো না।
এ সকল বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ হাসিনা খাতুন বলেন,সার্ভার ডাউন ছিল তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজপত্র সাবমিট করতে পারিনি।
সকল বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার,অরুন কুমার দেবনাথ বলেন,তখন সার্ভার ডাউন ছিল,তবে কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, এছাড়াও আরও যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলি আমি আন্তরিকতার সহিত দেখবো।
তবে এলাকার সচেতন মহল এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।