মোঃজোনায়েদ হোসেন জুয়েল,ষ্ট্যাফ রিপোর্টার
নয় বছর পর সম্মেলন, ফিরে আসছে বিশ্বাস
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন শুধু একটি দলীয় ইভেন্ট নয়—এটি যেন এক বিশাল প্রত্যাবর্তনের নাম।
নয় বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত জেলা সম্মেলন।
এই সম্মেলনের মুখ্য আলোচনায় রয়েছেন এমন একজন নেতা, যিনি প্রতিকূল সময়েও রাজনীতির পাঠশালা বন্ধ হতে দেননি, যিনি কর্মীদের হাত ধরেই সংগঠন বাঁচিয়ে রেখেছেন—মো. শরীফুল আলম।
রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে থাকা তার রাজনীতি
রাজনীতি অনেকেই করেন, কিন্তু সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, কর্মীর খোঁজ রাখা, অসুস্থ নেতার বাড়ি যাওয়া—এসব কাজের মানুষ আজকের দিনে বিরল।
তৃণমূল কর্মীরা বলেন:
> “শরীফ ভাই শুধু নেতা নন, উনি আমাদের অভিভাবক।”
এই ‘অভিভাবকত্বের’ কারণেই আজ তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে আস্থার সাথে, ভালোবাসার সাথে।
কেন্দ্রীয় রাজনীতি থেকে তৃণমূল—দ্বৈত দায়িত্ব, দ্বৈত সাফল্য
বর্তমানে তিনি শুধু জেলা সভাপতি নন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকও।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে—দুই দায়িত্ব কীভাবে সামলান?
জবাব দিয়েছে মাঠের কর্মীরাই—
> “উনি ব্যস্ত, কিন্তু আমাদের জন্য সময় দেন। ফোন করলে রিসিভ করেন, প্রয়োজনে পাশে থাকেন।”
তার এই দ্বৈত দায়িত্বে সাফল্য-ই প্রমাণ করে, তিনি শুধু পদ নয়, দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিতর্ক নয়, বাস্তবতা দিয়ে জবাব দেন
কিছু মহল থেকে শরীফুল আলমের পদ নিয়ে গঠনতান্ত্রিক প্রশ্ন তোলা হলেও তিনি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন।
তার নিজের ভাষায়—
> “আমি নিয়মভাঙা নেতা নই। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকনসহ অনেকেই একসাথে দুই জায়গায় ছিলেন। আমি ব্যতিক্রম নই।”
তাকে ঘিরে যেসব বিতর্ক তোলা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত—এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
আগামীর বিএনপি: গড়বেন কর্মী-কেন্দ্রিক, তরুণ-নির্ভর নেতৃত্ব
শরীফুল আলম ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ভাবেন পদ-পদবির বাইরে গিয়ে।
তিনি বলেন—
> “তরুণরা নেতৃত্বে না এলে সংগঠন বাঁচবে না। ত্যাগীদের সম্মান, যুবদের সম্পৃক্ততা—এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা আগামী দিনের বিএনপি গড়বো।”
তার এই নেতৃত্ব দর্শনকে অনেকেই বলছেন সময়োপযোগী ও বাস্তববাদী৷
পোস্টার নয়, কর্মীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন
সম্মেলন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে শতাধিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ।
কিন্তু শরীফুল আলমের সবচেয়ে বড় প্রচার তাঁর গত এক দশকের কাজ।
একজন নারী নেত্রী বলেন—
> “তিনি আমাদের পাশে ছিলেন। আমাদের অসুস্থতা, মামলা, আন্দোলন—সবখানেই তিনি ছিলেন। এখন আমরা তার পাশে আছি।”
নেতৃত্ব নয়, আস্থার মূল্য দিতে চান
শরীফুল আলম নির্বাচন করতে চান না নিজেকে প্রমাণ করার জন্য, বরং দায়িত্বের বোঝা আরও ভালোভাবে বহন করতে চান।
তিনি বলেন—
> “আস্থা ভাঙা আমার স্বভাব নয়। যেসব কর্মী আমাকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যেতে চাই।”
একজন নেতা নয়, এক আন্দোলনের প্রতীক
বিএনপির রাজনীতি এখন যেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে কিশোরগঞ্জের সম্মেলন হতে পারে একটি আস্থা ফিরিয়ে আনার সূচক।
আর এই আস্থার প্রতীক যদি হন শরীফুল আলম, তবে কিশোরগঞ্জ বিএনপি শুধু সংগঠিত হবে না, বরং নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে দেশব্যাপী।
কর্মীদের বিশ্বাস, সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি—সব মিলিয়ে শরীফুল আলম এখন শুধু একজন সভাপতি প্রার্থী নন, বরং তিনি এই অঞ্চলের রাজনৈতিক মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্বকারী একজন মানুষ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন