মোঃ জোনায়েদ হোসেন জুয়েল,
স্টাফ রিপোর্টার,কিশোরগঞ্জ
করিমগঞ্জ ও তাড়াইলের মানুষের কাছে সুপরিচিত নাম অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস। দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করে আসছেন। ছাত্রজীবনেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৭৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে উথারিয়া খাল খনন প্রকল্পে অংশগ্রহণ ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম পদক্ষেপ।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাকে রাজনৈতিকভাবে আরও সুদৃঢ় করে। রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায়ও সফলতা অর্জন করেন তিনি। কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আইন অঙ্গনে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। কিশোরগঞ্জ সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে করিমগঞ্জ উপজেলার নানশ্রী বাজার জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করিমগঞ্জ-তাড়াইল আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস। এরপর থেকে তিনি করিমগঞ্জ ও তাড়াইল অঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করছেন। এ কারণেই স্থানীয় জনগণের কাছে তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
অ্যাডভোকেট জালাল মোঃ গাউস বলেন, “রাজনীতি আমার কাছে জনগণের সেবার মাধ্যম। করিমগঞ্জ-তাড়াইলের মানুষ যদি আমাকে সমর্থন দেন, আমি উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জন করব ইনশাআল্লাহ।”
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হলে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তার পাশে দাঁড়াবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন