Top News

যশোর-৪ আসনে নির্বাচনী হাওয়া: বিএনপি ও বিজেপির শক্ত অবস্থান


 স্টাফ রিপোর্টার:

ইসির ঘোষণামতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও প্রায় চার মাস বাকি থাকলেও যশোর-৪ আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইছে জোরেশোরেই। এ আসনে এখন তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে—বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।


বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে বর্তমানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন—কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজি, এবং কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।

তাদের মধ্যে টিএস আইয়ুব ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন যে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সবুজ সংকেত পেয়েছেন এবং মাঠে গণসংযোগ জোরদার করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি ও মামলার অভিযোগ তুলেছেন দলেরই একটি অংশ, যারা বিকল্প প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।


অন্যদিকে, মতিয়ার রহমান ফারাজিও নিজস্ব প্রভাববলয়ে শক্ত অবস্থানে আছেন। অভয়নগরে তার সমর্থকগোষ্ঠী ব্যাপক এবং সাম্প্রতিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ বহন করছে।

এছাড়াও, নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, যিনি ঢাকায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, তিনিও এলাকায় গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।


বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখনো নিরসন হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তিনজন প্রার্থীকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিলেও মাঠ পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে।


অন্যদিকে, **বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)**ও যশোর-৪ আসনে নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকেই বিজেপির নেতা এম এম আমীন উদ্দীন বিএনপির জোট প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার তার ছেলে আশিকুর রহমান মিঠু এলাকায় বিলবোর্ড টানিয়ে সক্রিয় হয়েছেন এবং পুনরায় বিজেপিকে আলোচনায় এনেছেন।

দলের চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনায় যশোর-৪ আসনটি পুনরায় দাবি করেছেন। বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভাজনের সুযোগে বিজেপি এবারও এ আসনে সম্ভাবনা দেখছে।


এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলানা বায়েজিদ হোসাইন এবং জামায়াতে ইসলামীর গোলাম রসুলও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএনপি ও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই দুই দলের মধ্যেই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন