হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী ফ্লাইট থেকে শেখ শাইরা শারমিনকে থামিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। বললেন, “শেখ পরিবারের সবাই এ না। আমারও তো একটা আলাদা পরিচয় আছে।..
রাজনীতির পরিচিত মুখ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)-এর চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এখন একটি ভিন্ন রকম আলোচনায়। বিষয়টি রাজনীতি নয়—ব্যক্তিগত, তবে তার গুরুত্ব অনেক। পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনকে আজ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইটে উঠতে বাধা দিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে, থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে। ফ্লাইটে উঠার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন শেখ শাইরা শারমিন। চেক-ইনও সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে তাকে আটকে দেওয়া হয়।
কে এই শেখ শাইরা শারমিন?
শেখ শাইরা শারমিন শেখ পরিবারের সদস্য—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতিজা শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা। সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় তার ছোট ভাই। তবে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সক্রিয় নন তিনি। বরং স্বামী পার্থর ভাষায়, “তিনি হাউসওয়াইফ, সব সময় আমার সঙ্গে ছিলেন।”
এসবির ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক?
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, শেখ পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর অনুমতি বা ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের পর থেকে এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এর ফলে, শেখ শাইরা শারমিনের যাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। যদিও তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই বলে জানা গেছে।
আন্দালিব পার্থর ক্ষোভ:
ঘটনার পর গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন,
“আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় তা দেখব।”
তবে সবচেয়ে আলোচিত মন্তব্যটি তিনি করেছেন এভাবে:
“শেখ পরিবারের সবাই তো এক না। তিনি আমার স্ত্রী। আমি তো নিজেও একটা আইডেন্টিটি রাখি।”
এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, পার্থ শুধু বিরক্ত নন—নিজের ও স্ত্রীর আলাদা পরিচয় নিয়েও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
রাজনৈতিক জল্পনা?
ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনীতিতে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পার্থকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখতেই এমন একটি ঘটনা ঘটানো হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ পরিবারের সদস্যদের প্রতি ইমিগ্রেশনের এমন আচরণ ভবিষ্যতে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যারা সক্রিয় রাজনীতির বাইরে আছেন।