Top News

ঝিনাইদহে পাটের ভালো ফলন, কৃষকদের মুখে হাসি



প্রতিনিধিঃ মোঃ রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা 

ঝিনাইদহে এ বছর পাটের ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। রোগবালাই কম হওয়া এবং পাট জাগ দিতে কোনো ঝামেলা না থাকায় কৃষকরা খুশি। 

নিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে গাছ লম্বা হওয়ায় ভালো মানের পাট ও পাটকাঠি উৎপাদিত হয়েছে।


তবে কৃষকরা জানাচ্ছেন, পাট কাটা ও গরু-মহিষের গাড়িতে টানতে খরচ কিছুটা বেশি পড়েছে। কিন্তু বাজারে পাটের দাম গতবারের তুলনায় বেশি হওয়ায় সেই খরচ উঠে আসছে।


কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলার ছয়টি উপজেলায় ২০ হাজার ২২৯ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। গত বছর ২১ হাজার ৪৪৬ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছিল।

সদর উপজেলায় গত বছর পাঁচ হাজার ৬২ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিল পাট। এবার চার হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। শৈলকুপায় গত বছর আট হাজার ৪৭৭ হেক্টর, এবার সাত হাজার ৭৯৮ হেক্টর জমিতে, কালীগঞ্জ উপজেলায় গত বছর ৭১০ হেক্টর, এ বছর ৬৬৫ হেক্টর জমিতে, কোটচাঁদপুরে গত বছর ৪১৫ হেক্টর, এ বছর ৩৫৪ হেক্টর জমিতে, মহেশপুরে গত বছর চার হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে, এ বছর তিন হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। তবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় গত বছর ও এ বছর দুই হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।

পাট আঁশ ছড়ানোর কাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও যুক্ত হয়েছেন। তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হচ্ছে পাটকাঠি। এ পাটকাঠি পান বরজের বেড়া, ওয়াসি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকেরা বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন।


হরিণাকুণ্ডুর কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন,

"পাট কাটা থেকে শুরু করে জাগ দেওয়া পর্যন্ত খরচ কিছুটা বেশি পড়েছে। তারপরও এ বছর পাট ও পাটকাঠির ভালো দাম পাওয়ায় লাভের আশা করছি।"


একই উপজেলার কৃষক সুলতান জানান,

"এবার সার-কীটনাশক কম ব্যবহার করতে হয়েছে, ফলনও ভালো হয়েছে। আমার পাঁচ বিঘা জমির পাট বাজারে ভালো দামে বিক্রি হবে বলে আশা করছি।"

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন