হাসান আহমেদ প্রান্ত, নারায়ণগঞ্জ
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আব্দুল কাদির জিলানী হীরার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী মোটরচালকলীগ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহর চাঁন কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৩১ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটিগ্রাম এলাকাস্থ ছাত্রদল অফিস কার্যালয়ের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদির জিলানী হীরা জানান, আমি একটি নিউজের মাধ্যমে জানতে পাই যে, মোহর চাঁনের ছেলেকে আমিসহ সেন্টু ভাই, মাহবুব ভাই ও জাকির অপহরণ করেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, মোহর চাঁনের ছেলে যে অপহরণ হল, তার ছেলেকে কিভাবে উদ্ধার করা হল সেটা আপনাদের মাধ্যমে প্রকাশ করা হোক।
তার ছেলে যে অপহরণ হল, এই গ্রামে এত মানুষ, ওনার বাড়ির আশে-পাশের মানুষ কেউ কি জানল না তার ছেলে অপহরণ হল। ওনি কার ইন্ধনে, কাদের ছত্রছায়ায় এবং কাদের প্রেসক্রিপশনে এই কাজগুলো করতেছে আমি এগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
ওনার ছেলেকে যদি আমি অপহরণ করে থাকি, আমার দ্বারা যদি ওনার ছেলে অপহরণ হয়ে থাকে, আমার দ্বারা যদি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিন্দু পরিমান ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
আর যদি কোন প্রমান দিতে না পারে, ওনি যে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করল, আমার এলাকায় যে আমার ব্যক্তিগত সুনাম ছিল, আমার যে ব্যক্তিগত ইমেজ তিলে তিলে তৈরী করেছি, সে ইমেজ যে তিনি নষ্ট করল তার কারণে আমি আদালতে গিয়ে তার নামে মানহানী মামলা করব।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমি চাই একটা তদন্তের মাধ্যমে ওনার ছেলে যে অপহরণ হল, ছেলেকে নিয়েও যে একটা নাটক করল, সে নাটকের একটা সুষ্ঠ তদন্ত হোক। ওনার ছেলে অপহরণ হল, সেটার কোন অভিযোগ হল না আবার তাকে খুব সহজেই খুঁজে পেল, এ রকম নজির যদি দেশে থাকে যে, অপহরণ হল থানায় কোন অভিযোগ না করেই ভিকটিমকে খুঁজে পাওয়া যায় এরকম যদি নজির থাকে তাহলে মোহর চাঁন দেখাক। আমি চাই ওনার ছেলে গুম হওয়ার একটা সুষ্ঠ তদন্ত হোক।
তিনি বলেন, এই নাটকের পিছনে মূল কারণ হচ্ছে আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। সামনে আমাদের মহানগর ছাত্রদলের কমিটি আসন্ন। আমি যেহেতু মহানগর ছাত্রদল করি, আমিও মহানগর ছাত্রদলের একজন পদ প্রত্যাশী। মহানগর ছাত্রদলে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করে যাতে আমি কমিটিতে আসতে না পারি মূলত একটি পক্ষ সেটা চাইতেছে। আর ওই পক্ষগুলা ফেসবুকে ফেক আইডির মাধ্যমে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী জয়নাল হোসেন, তোফাজ্জল হেসন, ইসমাইল হোসেন, ডা. লিটন, মোহাম্মদ মামুন, রিপন হোসেন, রফিক, মহিউদ্দিন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক রাসেল আহমেদ, সহ সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মৃদুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় হোসেনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন