জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসের আশপাশে জড়ো হয়েছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমন পরিস্থিতিতে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে আসতে নিরুৎসাহিত হবেন। জাকসু নির্বাচনে ভোট দেবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা, গেটের বাইরে জামায়াত-শিবিরের লোকজনের উপস্থিতি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।’
সাদী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে জামায়াতে ইসলামীর একটি অখ্যাত কোম্পানি থেকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই জাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার এবং ভোট গণনার ওএমআর মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য ভোট গণনার কারচুপির এই নীলনকশা ফাঁস হয়ে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে ওএমআর মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাতিল করে ম্যানুয়ালি ভোট গ্রহণের প্রজ্ঞাপন জারি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্বেগের বিষয় হলো, একই কোম্পানির সরবরাহকৃত ব্যালট পেপার দিয়েই আজও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে আমরা মনে করছি, ছাত্রশিবির তাদের নিজস্ব কোম্পানি থেকে আলাদাভাবে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে জানালে এবং নতুন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানালেও তারা আমাদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। তা সত্ত্বেও, আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং ছাত্রশিবিরের এই নীলনকশা বাস্তবায়নের কোনো অপচেষ্টা চালাবে না।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, সেখানে ভোট কারচুপি এবং জাল ভোট দেওয়ার মতো একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রক্টর স্যারের অনুমতি নিয়ে আমাদের প্রার্থীরা সেখানে গেলে আমরা দেখতে পাই, দায়িত্বশীল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীরা উদাসীন। ভোটকেন্দ্র ফাঁকা থাকায় যাঁরা জাল ভোট দিচ্ছেন, তাঁরা একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আমাদের জিএস প্রার্থী বৈশাখী সেখানে উপস্থিত হলে তাঁর সঙ্গে এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা জাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যথেষ্ট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন