মোঃ রবিউল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার (ঝিনাইদহ)
চুরির আতংকে কৃষক। গতো কয়েকদিন ধরেই চোর চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষক যাতে জমিতে ফসল উৎপাদন না করতে পারে সে জন্যই এমনটি ঘটেছে। মানুষের সাথে শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু কৃষকের ফসলের সাথে নাই। এভাবে চুরি হতে থাকলে কৃষকের ফসল ফলানো দুষ্কর হয়ে পড়বে। এই সব মেশিন কৃষকের ফসলে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিলো।চুরি যাওয়ায় এখন বেশ কয়েকজন কৃষক জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
বুধবার দিবাগত বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দখলপুর গ্রামের দোয়াল মাঠ থেকে এসব সেচযন্ত্র চুরি হয়। তবে চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক থানায় একটি অভিযোগ জমা দেবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোয়াল মাঠ থেকে ১ টি এবং কাঔমারা মাঠ থেকে এসব সেচযন্ত্র চুরি হয়। বর্তমানে (নতুন) যার বাজার মূল্য ত্রিশ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা। এগুলো ছিলো দখলপুর গ্রামের কৃষক মমিন আলী,ফারুক হোসেনের। সেচযন্ত্রগুলো চুরি হওয়ায় শ্যালো মালিক ও কৃষক উভয়েই ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কৃষকের পক্ষে তাৎক্ষণিক শ্যালো কিনে জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব নয়।
নিত্যদিনের কাজের জন্য কৃষক মমিন মাঠে গিয়ে দেখেন শ্যালো মেশিন নেই। আশেপাশে অনেক খুঁজা খুঁজি করেও মেশিনের কোনো সন্ধান পাননি। এতে তারা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।চুরি যাওয়া ২ টি মেশিনের পানিতে মোট ১২-১৪ বিঘা জমিতে সেচ দিতেন। এখনো সেচের জন্য কোনো ব্যবস্থা করতে পারে নি তারা। বর্তমানে ধান এবং আগামী দিনে ভূট্টা চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।
কৃষকের শ্যালো মেশিন চুরি বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। তবে সেচযন্ত্র শ্যালো মেশিন উদ্ধারে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে দাবি করেন,ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (১৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার জানান, রাতে আমাদের পুলিশ টহল অব্যাহত আছে এবং আরো জোরদার করা হবে। কৃষকের শ্যালো মেশিন চুরির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া সেচযন্ত্র উদ্ধারে কাজ করবে পুলিশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন