কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিটামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের হাওরাঞ্চল সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা বরাবরই সক্রিয় থাকেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যাপক ডাঃ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী (লাকি) মাঠপর্যায়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিনের জনসংযোগ, আন্তরিকতা এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার মাধ্যমে দ্রুতই সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
গত ১৯ জুলাই মিটামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন, ঘাগড়া বাজার এবং ইটনা উপজেলার এলংজুরীতে গণসংযোগ করেন ডাঃ লাকি। সেখানকার হাওরপাড়ের মানুষদের সাথে কুশল বিনিময়, বিভিন্ন সমস্যার খোঁজখবর নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
গণসংযোগকালে তিনি বলেন—
“শুধু বক্তৃতা কিংবা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। মানুষের কষ্টের সময় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ, তরুণ-যুবক কিংবা মুরুব্বিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছাড়া রাজনীতি টেকসই হতে পারে না। জনগণের দুঃখ-আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই আমার রাজনীতির মূল ভিত্তি৷
হাওরাঞ্চলের চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়ন ভাবনা
মোঃজোনায়েদ হোসেন জুয়েল,কিশোরগঞ্জ জেলাপ্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ-৪ আসন পুরোপুরি হাওরবেষ্টিত। বছরের অধিকাংশ সময়ই এখানে পানিবন্দি অবস্থা বিরাজ করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল, অবকাঠামো উন্নয়ন ধীরগতি এবং কৃষকরা নানান সমস্যার সম্মুখীন। এসব চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে ডাঃ লাকি বলেন—
“এই আসনের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হলে হাওরকেন্দ্রিক আলাদা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। কৃষকদের জন্য আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র, নৌযোগাযোগ উন্নয়ন, বর্ষাকালে বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া আমার অঙ্গীকার।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, হাওরের মানুষ যেন বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা পায় সে দিকেও তিনি বিশেষ নজর দরকার৷
ডাঃ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী (লাকি) এর রাজনৈতিক যাত্রা কোনো হঠাৎ পাওয়া সুযোগ নয়। তিনি একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার পিতা ফরহাদ আহমেদ কাঞ্চন এক সময় কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা ও জনআস্থা আজও হাওরাঞ্চলের মানুষের স্মৃতিতে রয়েছে।
ডাঃ লাকি বলেন—
“আমার বাবা জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আমি তার দেখানো পথেই চলতে চাই। শুধু রাজনীতি নয়, মানুষের সেবাই হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য। জনগণ আমাকে যে আস্থা দিচ্ছে, আমি তাদের সেই আস্থা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
রাজনৈতিক প্রার্থী হিসেবে কেবল জনগণের আস্থা অর্জন করলেই হবে না, দলের ভেতরেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে হয়। ডাঃ লাকি এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছেন। তিনি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ দলীয় সংহতি ছাড়া মাঠপর্যায়ের রাজনীতি সফল করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন—
“দল যদি এক থাকে, তবে যে কোনো প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করা সহজ হবে। বিএনপিকে বিজয়ী করতে হলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা অপরিহার্য।”যুবকরা বলেন,
অধ্যাপক ডাঃ লাকি শিক্ষিত, তরুণপ্রাণ ও আধুনিক চিন্তাধারার একজন মানুষ হিসেবে পরিচিত। ফলে তরুণ ভোটারদের মধ্যে তিনি ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ছাত্র-যুব সমাজ তার কর্মতৎপরতায় অনুপ্রাণিত হচ্ছে। অনেক তরুণ বলছে—
“লাকির মতো নেতা হলে আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে। তিনি শিক্ষিত, ভদ্র, সৎ এবং আন্তরিক। আমরা তার পাশে আছি।”
আজকের ভোটাররা শুধু প্রতিশ্রুতি শোনে না, তারা বাস্তব পরিবর্তন চায়। কৃষি, মৎস্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নে তারা ফলপ্রসূ পরিকল্পনা দেখতে চায়। অধ্যাপক ডাঃ লাকি এসব বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের কথা জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। তার এই বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, “তিনি শুধু ভোটের সময় আসেননি, বরং নিয়মিত মাঠে ঘুরছেন, মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এটাই আমাদের কাছে তাকে প্রিয় করে তুলেছে।”
সব মিলিয়ে বলা যায়, অধ্যাপক ডাঃ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী (লাকি) এখন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তার আন্তরিকতা, জনসম্পৃক্ততা, ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা তাকে সাধারণ মানুষের কাছে আলাদা মর্যাদায় তুলে ধরেছে।
যদিও সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক—ভৌগোলিক সমস্যা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং দলের ভেতর ঐক্যের প্রশ্ন—তবুও তার দৃঢ় মনোবল ও নিরলস প্রচেষ্টা তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের মানুষের কাছে তিনি এখন কেবল একজন রাজনীতিবিদ নন, বরং একজন আস্থাভাজন বন্ধু, সেবক ও প্রিয় মানুষ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন