Top News

খেলাধুলা করতে না পেরে হতাশ শিক্ষার্থীরা, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ এলাকাবাসীর!!


কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ


কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব তারাপাশায় অবস্থিত কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আজ মারাত্মক অবহেলার শিকার। বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। মাঠটি পুরোপুরি পানিতে ডুবে থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঠে কখনো মাটি ভরাট কিংবা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠটি জলাশয়ে পরিণত হয়। শারীরিক কসরত, ক্রীড়া অনুশীলন ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী। বর্ষাকালে মাঠে পানি জমে থাকায় কিছু মানুষ সেখানে জাল ফেলে মাছ ধরে, যা বিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য চরম অস্বস্তিকর বলে অভিযোগ অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।

অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷

অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সমস্যা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বহুবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে মৌখিকভাবে জানানো হলেও এখনো মাঠ সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—

“আমাদের সন্তানদের খেলার কোনো পরিবেশ নেই। অথচ শিক্ষা অফিস বারবার লিখিত অভিযোগের কথা বলে দায়িত্ব এড়াচ্ছে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন উদাসীনতা মানা যায় না।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তারা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার মৌখিকভাবে জানানো হলেও প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি। শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠ সংস্কারের মতো মৌলিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা প্রশাসনের গাফিলতিরই প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।

শিক্ষার্থীদের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷

শিক্ষাবিদরা মনে করেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা মানসিক বিকাশ, শারীরিক সুস্থতা ও সামাজিক দক্ষতা অর্জনের অপরিহার্য অংশ। দীর্ঘ সময় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হলে তাদের সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাসে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ অকেজো থাকা মানে শত শত শিশুর বিকাশে বাধা তৈরি হওয়া।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা মাঠে মাটি ভরাট ও স্থায়ী পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

অভিভাবকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি অচিরেই সমস্যার সমাধান না হয় তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পুনরুদ্ধার এখন শুধু শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের স্বার্থেই নয়, বরং পুরো এলাকার সামাজিক প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন