রাজবাড়ীর পাংশায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ভেজাল তেল বোতলজাত ও বাজারজাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক হেনস্তা ও হুমকির মুখে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পাংশা পৌরসভার পুরাতন বাজার (দর্গাতলা) এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলালের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের তেল ও কেমিক্যাল মিশিয়ে নারিকেল ও সরিষার ভেজাল তেল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব তেল ‘থ্রী স্টার অয়েল মিল’ নাম ব্যবহার করে অনুমোদনবিহীনভাবে বোতলজাত করা হয় এবং বাজারে সরবরাহ করা হয়। বোতলের গায়ে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের নকল মোড়ক।অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহে গেলে তেল বোতলজাতকরণ ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। দেলোয়ার হোসেনকে সেখানে না পাওয়া গেলেও তার পরিবারের সদস্য ও কর্মচারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেন। এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং নানা হুমকি-ধামকি দেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাংবাদিকরা নিরাপদে ফিরে আসেন।হেনস্তার শিকার সাংবাদিকরা হলেন—এস.কে পাল সমীর, হামজা শেখ এবং উজ্জ্বল হোসেন।
এ বিষয়ে মালিক দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “যা হয়েছে সেটা ভুল বোঝাবুঝি। আসলে এখন আর তেল তৈরি হয় না।”তবে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের ভেজাল তেল উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, “দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের হেনস্তা হতে হয়েছে। ভেজাল ব্যবসায়ীরা এখন সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে মরিয়া।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা জানান, বিষয়টি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন