সিয়ামুর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সিকদারহাট গ্রামে বাড়ির ভেতর থেকে মা ও মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা টের পান এবং পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন—ওই গ্রামের জগদীশ রায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী শাপলা রানী (৫০) এবং তার মেয়ে শর্মিলা রানী (১৮)।
কীভাবে ধরা পড়ে ঘটনা
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে গ্রামের কয়েকজন পথচারী শাপলা রানীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তীব্র দুর্গন্ধ পান। পরে সন্দেহ হলে টর্চলাইট ফেলে ভেতরে তাকিয়ে দেখা যায় ঘরের মেঝেতে মা ও মেয়ের নিথর দেহ। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
অভাবের সংসার, অস্বাভাবিক মৃত্যু
গ্রামবাসীর বক্তব্য, শাপলা রানী ও তার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভাব-অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছিলেন। স্বামী জগদীশ রায় বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতেন। তবে এমন মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন তারা। একই পরিবারের দুই সদস্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হওয়ায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন—
> “অভাবের সংসার হলেও মা-মেয়ে সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা চাই এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক।”
পুলিশের বক্তব্য
সদর থানার এসআই দীন মোহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান—
> “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”
উপসংহার
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রকৃত সত্য বের করে আনার দাবি জানিয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন