Top News

জাকসু: ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে, কঠোর নিরাপত্তায় গণনার অপেক্ষা


 পাঁচটি প্যানেল ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনাস্থা এবং বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের ভোট শেষ হয়েছে।


প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর এই ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ২১টি হলে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বড় ধরনের কোনো গোলযোগ ছাড়াই বিকাল ৫টায় শেষ হয়।


তবে কয়েকটি হলে ভোটারের দীর্ঘ লাইন থাকায় নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোটগ্রহণ করা হয়। সবশেষ রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ভোটগ্রহণ শেষ হয়।


ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর হলগুলো থেকে ব্যালট বাক্স কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সিনেট ভবনে নিয়ে আসা হয়। এখান থেকেই গণনা শেষ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


এদিকে সিনেট ভবন ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের গেইটগুলোতে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের দেখা গেছে।


ক্যাম্পাসে সারাদিন ভোটের দায়িত্ব পালন করা সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, গেইটের বাইরে প্রচুর মানুষের জটলা রয়েছে। ফলে এ নিয়ে এক ধরনের উত্তেজনাও রয়েছে।


সিনেট ভবনে থাকা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট গণনা শুরু হয়নি। গণনার প্রস্তুতি চলছে।


কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন।


বর্জনের ঘোষণা যাদের


ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী। এ সময় তার পাশে প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ সাদি হাসানও ছিলেন।


বৈশাখী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ভোটকেন্দ্র মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানি ঘিরে টেলিকাস্টসহ ভিডিও ক্যামেরা সাপ্লাই দিয়ে সিসি টিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুরো ভোটকেন্দ্র শিবিরকে মনিটর করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।


“আমাদের বিজয় ব্যাহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের সত্যিকার প্রতিফলণ ঘটছে না। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।”


এর পর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানায় ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুরাদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই অনাস্থার কথা জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান।


পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ও ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ প্যানেল।


একই অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন ও পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেলের প্রার্থীরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ঘোষণা দিয়েছেন ভোট বর্জনের।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন