গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলা, কবর ভাঙচুর ও লাশ উত্তোলন করে পোড়ানোর ঘটনার পর রাজবাড়ী জেলা ঈমান আক্বীদা সংরক্ষণ কমিটি এক জরুরি সভা করে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এই সভায় কমিটির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী জেলা ঈমান আক্বীদা সংরক্ষণ কমিটির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে কোনো ধরনের মিছিল বা সহিংসতার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং এই সিদ্ধান্ত পূর্বেই জেলার সকল উপজেলা কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস আলী মোল্লা বলেন, “রাজবাড়ী আজাদী ময়দান, গোয়ালন্দ আনসার ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কে বা কারা পরে দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে তা পুড়িয়ে দেয় — এটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা।”
বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, ঈমান আক্বীদা সংরক্ষণ কমিটির কোনো সদস্যই এই ঘটনায় জড়িত নন এবং তারা এই ধরনের কাজের ঘোর বিরোধী।
বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে শান্ত ও সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে গোয়ালন্দে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও দরবারে হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে অজ্ঞাত ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন