আশীষ বিশ্বাস
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী জেলার ডিমলও
জলঢাকা উপজেলায় তিস্তার পানির সঙ্গে বালি ও পলি পড়ায় কৃষকের আধাপাকা ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে।
তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আজ সোমবার উন্নতি হয়েছে, ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিকেল ৩টায় পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে রবিবার রাত ১১টায় পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষজন পানিবন্দি হয়।
এদিকে তিস্তার পানি কমায় সোমবার স্বস্তি ফিরে আসে, ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, এক হাজার পাঁচ শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরের আধাপাকা ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে। খোকার চরে তিন স্থানে এবং যৌথ বাঁধের কাছে তিন স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রায় ৮৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির সঙ্গে বালি ও পলি পড়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। খালিশাচাপানী গ্রামের স্কুলশিক্ষক বিপুল চন্দ্র রায় জানান, তিস্তাপারের মানুষের রাতে নির্ঘুম রাত কাটে। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, ক্ষণিকের বন্যায় ৬০ হেক্টর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হলেও পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় ফসল কিছুটা কম ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের ২৬১ মিলিমিটার, কোচবিহারে ১৯০ মিলিমিটার জলপাইগুড়িতে ১৭২ মিলিমিটার, পশ্চিমবঙ্গে ১৩৪ মিলিমিটার, অরুণাচলে ৮৯ মিলিমিটার এবং গ্যাংটক সিকিমে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পঞ্চগড়ে ১১৮, ডালিয়ায় ৮৫, কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৬, রংপুরে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খোলা রয়েছে। কালীগঞ্জে ডানতীর প্রধান বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলে তা ঠেকানো হয়েছে, বৃহৎ বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি রবিবার রাত থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন