নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাচোল -গোমস্তাপুর -ভোলাহাট তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত ৪৪ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে সকলের প্রিয়, সদালাপি, পরোপকারী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ট কন্ঠস্বর, নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাটের পরিচিত মুখ আসাদুল্লাহ আহমদ।বিগত ৪৪ বছর ধরে একটানা দলের জন্য কাজ করে চলেছেন।জীবনে অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন।সবই করেছেন জিয়া পরিবারের প্রতি ভালোবাসার টানে।এলাকার মানুষজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিশ্বাস তিনার ত্যাগ, দলীয় আনুগত্য এবং জনপ্রিয়তার কারণে দলের মনোনয়ন তার বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই যেকোনো বিবেচনাতেই দলীয় অন্য প্রার্থীর থেকে বেশ এগিয়ে আছেন তিনি।
বিএনপি সূত্র মতে, এবার মনোনয়ন পেতে বেশ কিছু মানদন্ডের কথা দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। যার অন্যতম হচ্ছে, দলীয় আনুগত্য ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করা, গত ১৭ বছরের লড়াই সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা, জনসম্পৃক্ত কাজে অংশগ্রহণ, ৫ আগস্ট পরবর্তী ইমেজ ধরে রাখার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা বাড়ানো বা ধরে রাখার মতো বিষয়গুলো মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে। ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আসাদুল্লাহ আহমদ সবগুলোতেই সবার চাইতে এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
তাদের মতে, ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে অন্য সবার থেকে তিনি বেশি আলোচিত, দলীয় আনুগত্য এবং জিয়া পরিবারের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন, ভালোবাসা বিরামহীনভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার যে মানসিকতা তা অনস্বীকার্য । তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ - ২ আসনে আসাদুল্লাহ আহমদের জনপ্রিয়তা অন্য যেকোনো সময়ের থেকেও বেশি। প্রতিহিংসামুক্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের কারণে সাধারণ মানুষও তার প্রতি সন্তুষ্ট।
এলাকায় দলীয় গ্রুপিং থাকলেও তিনি গ্রুপিংয়ের উর্ধ্বে।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট। তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কেউ যদি দখল চাঁদাবাজির মতো অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যায়, আর সে যদি আমার মায়ের পেটের ভাইও হয় তার ব্যপারে কোনো ছাড় আমার কাছে অন্তত নেই।।দলের সুনাম নষ্ট করে বিএনপি করার অধিকার কারোরই থাকবে না। এটাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কঠোর বার্তা। আমি আসাদুল্লাহ আহমদ আজ এ পর্যায়ে এসেছি যেই দলের কারণে সে দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ আমরা কেউ করি নাই, করব না। এটাই আমার শিক্ষা এবং শহীদ জিয়ার আদর্শ।তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় জানা গেছে,দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে আজকের এ অবস্থানে এসেছেন তিনি।১৯৮১ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বিএনপির রাজণীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৯৮৩ সালে ছাত্রদলের রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের আহবায়ক, গোমস্তাপুর থানা সভাপতি, জেলা যুগ্ম আহবায়ক, ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তিন উপজেলার সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহবায়ক, থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম এর সদস্য,জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে কয়েকবার কারাবরণ করেন, অসংখ্য মামলার শিকার হন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা মারাত্মক আহত হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন কয়েকবার।সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় দুই পুত্র ছাত্রদল নেতা নাজমুল হক নাজিম ও হাবিবুল বাশার নাফিস সহ গ্রেফতার হন আওয়ামীলীগের পোষ্য পুলিশ বাহিনীর হাতে। শিক্ষাজীবনে মাস্টার্স আসাদুল্লাহ আহমদ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকতায় জড়িত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন