মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি জগতে নতুন ইতিহাস গড়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া-এর তিন তরুণ উদ্ভাবক — ইয়াছিন আরাফাত, মো. সামসুজ্জোহা মণ্ডল (বাংলাদেশ) এবং ইউসুফ মাবরুক (মরক্কো)। তাদের তৈরি উদ্ভাবনী প্রকল্প “ডেঙ্গু গার্ড এআই” আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়ে ইউএসটি গ্লোবাল হ্যাকাথন ২০২৫-এ দ্বিতীয় রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
সম্প্রতি সাইবারজায়া, মালয়েশিয়া-তে অনুষ্ঠিত এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মোট ৪১টি দল অংশগ্রহণ করে। ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কঠিন প্রতিযোগিতায় সিটি ইউনিভার্সিটির এই দলটি অসাধারণ প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং বাস্তব সমস্যার সমাধানে অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তাদের তৈরি “ডেঙ্গু গার্ড এআই” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং একটি সমন্বিত তথ্য ব্যবস্থা ব্যবহার করে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র শনাক্ত, প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা আগেভাগে পূর্বাভাস এবং কার্যকরী প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তি জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী অবদান রাখতে পারবে।
গর্বের বিষয়, দলের অন্যতম সদস্য ইয়াছিন আরাফাত কেবল একজন উদ্ভাবকই নন, তিনি বাংলাদেশি ইয়ুথ অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়া-এর সিটি ইউনিভার্সিটি ইউনিটের তথ্য প্রযুক্তি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের পথে অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি তিনি নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনের এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
এই অর্জন প্রমাণ করে, বাংলাদেশের তরুণরা কেবল দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেদের মেধা, পরিশ্রম ও সৃজনশীলতা দিয়ে বিশ্বকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যেতে সক্ষম। “ডেঙ্গু গার্ড এআই” সেই সম্ভাবনারই এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন