প্রচারণা উদ্বোধনকালে ফয়সাল তাহের সুমন বলেন, “আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য এবং ন্যায় ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য। আমার শক্তি জনগণ, তাদের বিশ্বাসই আমার প্রেরণা।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে, আগামী দিনেও থাকবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে যাবে প্রত্যেক মানুষের দোরগোড়ায়।”
শ্যামলী মাঠ থেকে শুরু হওয়া এই প্রচারণা ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয় ঢাকা-১৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায়। সারাদিন ধরে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে কুশল বিনিময় করেন। বিভিন্ন এলাকার পথচারী, ব্যবসায়ী, তরুণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং তাদের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। দিনব্যাপী প্রচারণা উৎসবে পরিণত হয়, এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস ও আশাবাদের বার্তা।
স্থানীয় জনগণ ও জাতীয় পার্টি-বিজেপির নেতাকর্মীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ফয়সাল তাহের সুমনের মতো যোগ্য ও শিক্ষিত নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি-বিজেপি আবারও নতুন করে জাগ্রত হয়েছে। তার নেতৃত্বে ঢাকা-১৩ আসনে নতুন রাজনৈতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জনগণের মানুষ, যিনি কথা দেন এবং কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেন।”
এলাকার তরুণ সমাজের মধ্যেও এই প্রচারণা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করেন, ফয়সাল তাহের সুমনের মতো তরুণ, উদ্যমী ও জনগণমুখী নেতার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি-বিজেপি আবারও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরতে পারবে। তার প্রচারণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক ও সমর্থকরা বলেন, “আমরা পরিবর্তন চাই, উন্নয়ন চাই। সুমন ভাই সেই পরিবর্তনের প্রতীক।”
শ্যামলী মাঠে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণ নেতৃত্বের উত্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফয়সাল তাহের সুমনের মতো যোগ্য নেতা দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছেন।” বক্তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র ও সুশাসনের পক্ষে রাজনীতি করে আসছে। এই গণসংযোগ কার্যক্রম সেই অঙ্গীকারেরই ধারাবাহিকতা।”
পুরো কার্যক্রম জুড়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখে দলীয় কর্মীরা ব্যানার, পোস্টার ও প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। পথচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজখবর নেওয়া এবং তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণে প্রচারণাটি উৎসবের রূপ নেয়। দিনশেষে এলাকাজুড়ে ফয়সাল তাহের সুমনের নেতৃত্বে এক নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই গণসংযোগ কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রচারণাই নয়, বরং জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তোলার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টি-বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, এ ধরনের কার্যক্রম সারা দেশে সম্প্রসারণ করা হবে, যাতে জনগণের আস্থা ও সমর্থন আরও মজবুত হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন