Top News

সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করে চলছে আগুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।


 

মোঃ জাহিদুল হক: সিরাজগঞ্জ 


সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকাল ৯ টার মধ্যে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করতে হবে- এমন নির্দেশনা শিক্ষা অফিস দিয়ে থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন, সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের অনুসন্ধানে এমন একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে একটি বিদ্যালয়ের ভয়াবহ চিত্র ,সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি  উপজেলার  রাজাপুর  ইউনিয়নের ১১নং আগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন ৯ টা ৬  মিনিটে এবং পতাকা উত্তোলন করেন ৯ টা ৬  মিনিটে,সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম  ৯ টা ৪০ মিনিট, আতিকুর রহমান ৯ টা ৯ মিনিটে ,  ববি ঘোস  ৯ টা ৩১ মিনিট , আবুল কালাম আজাদ ৯ টা ২২ মিনিটে এবং সেলিম রেজা সাংবাদিকদের উপস্থিত বুঝতে পেরে মুঠোফোনে  ৯ টা ৩০ মিনিটে ছুটি নেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলামের কাছে   

এমন অবস্থায় এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে নানা সমালোচনার ঝর। এলাকাবাসী বলেন, এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক  মোঃ সেলিম রেজা তাকে সবাই ডাইরিয়া শিক্ষক হিসেবে চেনে, কারন বিদ্যালয়ে কোন তদন্ত আসলেই তার ডায়রিয়া হয়। আজকে আপনারা এসেছেন তাই তার ডাইরিয়া হয়েছে। তিনি আওয়ামীলীগের বেলকুচি পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজার ভাইরা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনেক আগে থেকেই কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে, নিজের ইচ্ছেমত চলেন। স্কুলের ক্লাস রুটিন ৯ টা থেকে থাকলেও শিক্ষকরা ৯ টার পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। একেক দিন একেক সময় ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস শুরুর নির্দিষ্ট কোন সময়, এই বিদ্যালয়ে নেই। স্কুলের শিক্ষকরা প্রতিদিন দেরি করে আসে। এদিকে স্কুলের বারান্দা,অফিস রুম এবং সকল ক্লাস নোংরা পরিবেশের মধ্যেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

ঐ বিদ্যালয়ের আশে পাশের লোকজন বলেন

 সকল শিক্ষক- শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে আসেন না আবার আসলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আসেন না। তাই ক্লাসের সঠিক নিয়ম জানা নেই তবে বেশির ভাগ সময় সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ক্লাস শুরু হয়। সহকারী শিক্ষিকা ববি ঘোস বলেন,আমি শহরে থাকি আজকে শহরের চৌরাস্তায় জ্যাম থাকার কারনে দেরি হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাস্তায় গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়েছে তাই দেরি হয়েছে। তবে সকলেরই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর সকাল ৯ টা তে দেওয়া। বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী ২৩৮জন। প্রাক প্রাথমিক এ ৩০ জন শিক্ষার্থী আছে বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক কিন্তু ক্লাসরুমে গিয়ে ৪জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়।


এসকল বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সেখ ফরিদ আহমেদ বলেন বিষয়টি দুঃখজনক তবে আপনারা বললেন আমি আগামীকাল ঐ বিদ্যালয়ে যাব বিষয়টি দেখার জন্য।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন