আনারুল ইসলাম,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
দুর্গাপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র-গোষ্ঠীর একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী (১৮) দুর্গাপুরে অবস্থিত একটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী (৬০) উপজেলার বাঐপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালের দিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে প্রেরণ করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান। এরআগে গত রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে ভুক্তভোগীর অভিযোগ থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাবা দীর্ঘদিন যাবত তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী প্রতিবেশি হওয়ায় পূর্ব হতে বিভিন্ন সময় কবিরাজি চিকিৎসা নিতে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এরই সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীকে বিরক্ত করতো ও কু-প্রস্তাব দিতো। ওই কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দিতো অভিযুক্ত ব্যক্তি।
গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে ভুক্তভোগী ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাচ্ছিলেন। এ সময় অভিয্ক্তু ব্যক্তি পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অবস্থায় ভুক্তভোগীকে জাবরাইয়া ধরে, একহাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে ভুক্তভোগীর বাড়ির পূর্ব-উত্তর পাশে মাল্টা বাগানে নিয়ে যান এবং ভ্ক্তুভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মোহাম্মদ আলী।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমরা আদিবাসীরা কি বাংলাদেশের নাগরিক না ? সমাজ বিনির্মানে কি আমাদের অবদান নাই ? আরকতো মেয়ে ধর্ষিত হলে সরকার এ বিষয়ে সজাক হবেন। আমি এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন