মিসরে গাজা পুনর্নির্মাণবিষয়ক একটি সম্মেলন আয়োজন করা নিয়েও উভয় নেতা আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন সিসি। মিসরের এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জোর দিয়ে বলেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি অমীমাংসিত স্বার্থের সমাধান হবে না এবং ফিলিস্তিনি জনগণ হিংস্র যুদ্ধের পরিণতির মুখোমুখি হতে থাকবে, ততক্ষণ
পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা সুদূরপ্রসারী থাকবে; যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্থিতিশীল এবং সুরক্ষিত ভবিষ্যতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা হামাস অথবা ইসরায়েল কেউই শাসন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলা ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় ফ্রান্স। ইসরায়েলি বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট বলেন,‘‘আমরা গাজা-সহ নিজ জমি থেকে যে কোনও মানুষের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পাশাপাশি গাজা উপত্যকা কিংবা পশ্চিম তীরে দখলের বিরুদ্ধে দাঁড়াই।’’ তিনি বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এবং ইসরায়েল-সহ ওই অঞ্চলের পুরো নিরাপত্তার জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি তৈরি করে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, গাজা পুনরায় গড়ে তোলার জন্য গত ৪ মার্চ আরব দেশগুলোর প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানায় ফ্রান্স। তিনি বলেন, এটি গাজার প্রতি বাস্তবসম্মত সমর্থন এবং গাজা উপত্যকায় নতুন প্রশাসনের পথ সুগম করবে। গাজার যে কোনও ধরনের শাসন কাঠামোর অংশ হবে না হামাস। এমনকি ইসরায়েলও হতে পারবে না।