শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। পূজার আমেজ ঘনিয়ে আসতেই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শুরু হয়েছে উৎসবমুখর কেনাকাটা।
শ্রীমঙ্গল শহরের বড় বড় বিপণিবিতান থেকে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান পর্যন্ত এখন জমজমাট কেনাবেচা চলছে। বাজারগুলোতে চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, ইমিটেশনের গয়না এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় লেগেছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ছিল নিম্নবিত্ত মানুষের চোখে পড়ার মতো আনাগোনা।
ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। তারা জানান, শেষ সময়ে ভিড় এড়াতে আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।
ভুড়ভুড়িয়া চা-বাগান থেকে শপিং করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “দুর্গাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছরই পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক ও উপহার কিনি। এবারও পরিবারের সবাইকে নিয়ে মার্কেটে এসেছি।”
কেনাকাটা করতে আসা অভি রায় জানান, “পূজাকে ঘিরে আমার রয়েছে বিশেষ উচ্ছ্বাস। শেষ মুহূর্তের ভিড় ও হুড়োহুড়ি এড়াতেই এখনই কেনাকাটা সেরে নিচ্ছি। পূজার আনন্দ কেবল মণ্ডপে ঘোরাঘুরিতে সীমাবদ্ধ নয়, কেনাকাটার মধ্যেও থাকে উৎসবের আসল রঙ। বাজারে ভিড় এখন কম হলেও সময় যত এগোচ্ছে মানুষের ঢল তত বেড়ে যাবে।”
শ্রীমঙ্গল এলাকার তপন কুমার দেব বলেন, “দূর্গা পূজা আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ও আনন্দ। তাই পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে কেনাকাটাও আনন্দের একটি বড় অংশ। সবকিছু মিলিয়ে আমরা সবাই সুন্দরভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা পালন করবো, এটাই প্রত্যাশা।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন